![]() |
দুস্থ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে উন্নতমানের কম্বল বিতরণ |
গত ৭ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের সহায়তায় গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গোয়ালন্দ উপজেলা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা (জিইউপিইউএস)’র ১০০ জন দুস্থ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে উন্নতমানের কম্বল বিতরণ করা হয়। গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ নাহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজাবাড়ী জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জনাব মোঃ তারিফ-উল-হাসান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান, গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জয়ন্ত দাস, দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ সহিদুল ইসলাম, আক্কাস আলী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে গোয়ালন্দ উপজেলা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা (জিইউপিইউএস)’র সুযোগ্য সভাপতি মোঃ রতন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুন্নাব শেখ এর নেতৃত্বে উক্ত সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারি ও বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জাতীয় পুরুস্কারপ্রাপ্ত সফল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি মোঃ রকিবুল ইসলাম সহ-সভাপতি মোঃ সিদ্দিক সরদার, সহ-সমন্বয়কারি মোঃ শফিকুল ইসলাম, কোষাদক্ষ মোঃ রফিকুল ইসলামি, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুচ আলী খা।
এ সময় গোয়ালন্দ উপজেলা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা (জিইউপিইউএস)’র পক্ষে বক্তব্য রাখেন সংস্থার প্রধান সমন্বয়কারী ও জাতীয় পুরুস্কারপ্রাপ্ত সফল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি মোঃ রকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন- “গোয়ালন্দ উপজেলা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা একটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্ব-সংগঠন। উক্ত সংগঠনের নিবন্ধিত সদস্য সংখ্যা ৪৭৪ জন ও উপকারভোগী প্রায় ৩৮০০ জন। সংগঠনটি মানবিক কার্যক্রমসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনমান ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় সংগঠনটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দ্ধারা ফুলঝাড়ু তৈরি প্রকল্প পরিচালনা করছে। সিডিএফ নামক মানবিক সংগঠনের ৫০০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা অনুদান ও নিজস্ব ১০০০০০ (এক লক্ষ) টাকার সাহায্যে প্রকল্পটি শুরু করা হয়। পরবর্তীতে গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয়ের সহযোগিতায় ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকা অনুদান ও ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) টাকা সহ মোট ৪,৫০,০০০ (চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা দিয়ে প্রকল্পটি প্রতিষ্ঠানিক ভাবে চালু করা হয়। উক্ত প্রকল্পে বর্তমানে ১২ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও ২ জন নারীসহ মোট ১৭ জন অসহায় ব্যক্তি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাই ফুলঝাড়ু তৈরি ও বিপনন করে। কিন্তু এই সীমিত মূলধন দিয়ে প্রকল্পটি ভালোভাবে সম্পাদান করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই প্রকল্পটি সুষ্ঠভাবে সম্পাদান আরও ১০ থেকে ১২ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধীদের দাবির প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক বলেন, দৌলতিয়াতে প্রতিবন্ধীরা স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য ঝাড়ু তৈরী ও বিপননের যে কারখানা গড়ে তুলেছেন, সেটার সম্প্রসারনে আমি যথাযোগ্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদান, প্রতিবন্ধীদের জন্য ধাপে ধাপে প্রয়োজনীয় হুইল চেয়ার ও অন্যান্য সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদান করব।